চৌদ্দগ্রামের মিয়া বাজারে ককটেল ফাটিয়ে ও গুলিবর্ষন করে স্বর্ণ দোকানে ডাকাতি ॥ গুলিবিদ্ধ এক ব্যবসায়ী ॥ আটক এক
রিপোর্ট জসিম চৌধুরী নিলয় চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজারে প্রকাশ্যে ককটেল ফাটিয়ে ও গুলিবর্ষন করে প্রীতি জুয়েলার্স নামক এক স্বর্ণ দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারী) আনুমানিক রাত আটটার সময়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময়ে ডাকাতদের এলোপাতাড়ি গুলিতে এক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। রাত সাড়ে দশটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেনের অপরাশেন (অস্ত্রোপচার) চলছে। ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে এক ডাকাতকে স্থানীয় জনতা আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তথ্যটি রাত ৯টায় নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত আটটার সময়ে স্থানীয় মসজিদে এশার নামাজ চলাকালীন ৮-১০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল নোহা মাইক্রোযোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেষা মিয়াবাজার মসজিদ মার্কেটের নিচ তলায় অবস্থিত প্রীতি জুয়েলার্স নামক স্বর্ণ দোকানে হানা দেয়। এ সময়ে তারা দোকান মালিক রবীন্দ্র দত্ত ও তার ভাতিজা পলাশ দত্তকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে দোকান মালিকের আত্নচিৎকারে আশে-পাশের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলে ডাকাতদল এলোপাতাড়ি গুলি ও ককটেল ফাটিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এ সময় ডাকাতদের গুলিতের ওই মার্কেটের বিসমিল্লাহ টেলিকমের মালিক মোশারফ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে ডাকাতরা তাদের বহনকৃত নোহা মাইক্রোযোগে পালিয়ে গেলেও ডাকাতদলের এক সদস্য মহাসড়কের দিকে দৌড়ে পালানো সময়ে স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে তাকে আটক করে গণধোলাই পুলিশে সোর্পদ করে। এদিকে গুরুতর আহত ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। রাত সাড়ে দশটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার অপরাশেন (অস্ত্রোপচার) চলছে।
প্রীতি জুয়েলার্সের মালিক রবীন্দ্র দত্ত জানান, প্রথমে দুইজন কাস্টমার সেজে আমার দোকানে প্রবেশ করে বিভিন্ন গহনা ক্রয় করতে চায়। তাদের চাহিদামত অনেক গুলো অলংকার তাক থেকে নিচে নামানোর সাথে সাথেই ৮-১০ জনের একটি ডাকাতদল অস্ত্রসহ কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে ও আমার ভাতিজাকে জিম্মি করে সবগুলো গহনা তারা হাতিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময়ে আমাদের আত্নচিৎকারে আশে-পাশের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলে তারা এলোপাতাড়ি ভাবে গুলি ও ককটেল বিষ্ফোরণ করতে থাকে। এতে আমাদের মার্কেটের বিসমিল্লাহ টেলিকমের মালিক মোশারফ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, স্বর্ণ দোকানে ডাকাতির ঘটনা শুনে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ সময়ে স্থানীয় জনতারা এক ডাকাতকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে। পুলিশ অপর ডাকাতদের আটক করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আটককৃত ডাকাত সদস্যের নাম কাওসার (৩০) । সে ঢাকার উত্তর খান থানার চনপাড়া গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে